আ.লীগসহ ১৪ দলের বিচারের দাবীতে নাটোরে জামায়াতের সমাবেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক:
আওয়ামীলীগসহ ১৪ দলীয় জোটের লগি-বৈঠার তান্ডবের হত্যার প্রতিবাদ এবং দোষীদের বিচারের দাবিতে নাটোরে জামায়াতের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার(৮ নভেম্বর) বিকেলে নাটোর সদর উপজেলার দিঘাপতিয়া পিএন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
দিঘাপতিয়া ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর মাওলানা আব্দুল করিম নিজামীর সভাপতিত্বে এবং ইউনিয়ন সেক্রেটারী মোঃ আখের আলীর সঞ্চালনায় সামাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নাটোর জেলা আমীর অধ্যাপক ড. মীর নুরুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- নাটোর সদর-২ আসনে জামায়াত মনোনীত প্রার্থী ও জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর অধ্যাপক মোঃ ইউনুস আলী, জেলা সেক্রেটারী অধ্যাপক সাদেকুর রহমান,জেলা সহকারী সেক্রেটারী আতিকুল ইসলাম রাসেল, সদর থানা জামায়াতের আমীর মাওলানা মীর নুরুন্নবী, সহকারী সেক্রেটারী মাওলানা রুহুল আমীন জিহাদী, সাবেক ছাত্রশিবিরের জেলা সভাপতি মোঃ আলমগীর হোসেন, আলী আল মাসুদ মিলন, মোঃ সাজ্জাদুর রহমান,সদর থানা শাখার সভাপতি মোঃ তালহা মন্ডল ও সেক্রেটারী সোহানুর রহমান সোহান, জেলা শ্রমিক কল্যান ফেডারেশনের সেক্রেটারী আফতাব আলী, ও অধ্যাপক আব্দুস সালামসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, সকল মতামত ও ভেদাভেদ ভুলে সকলকে ইসলামের সুমহান আদর্শে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এবং আগামীতে যে জাতীয সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে সেই নির্বাচনে ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী দলকে বিজয় করতে হবে। ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবরের পথ ধরেই আওয়ামীলীগ দেশে যে সন্ত্রাসী রাজনীতি শুরু করেছিল তা ২০২৪ সালের ৫ আগষ্ট পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। তখন থেকেই দেশকে রাজনীতিশূন্য করার প্রক্রিয়া শুরু হয়। তারই ধারাবাহিকতায় দেশে গণতন্ত্র, আইনের শাসন, মানবাধিকার, ন্যায়বিচার, বাকস্বাধীনতা, ভোটাধিকার সহ মানুষের সকল অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়। ২৮ অক্টোবর ২০০৬ সালে পল্টনের বায়তুল মোকারম উত্তর গেটে জামায়াতে ইসলামীর শান্তিপূর্ণ জনসভায় আওয়ামীলীগসহ ১৪ দলীয় জোটের সন্ত্রাসীরা নারকীয় তান্ডব চালিয়ে তারা জামায়াতে ইসলামীর ১৪ জন নেতা কর্মীকে হত্যা করে। এবং শত শত নেতা কর্মীকে নির্মম ভাবে আহত করে। হত্যার সাথে জড়িত খুনিদের দ্রুত বিচারের দাবী করছি।