নাটোরে মামলা থেকে নাম বাদ দিতে ৫ লাখ টাকা ঘুষ দাবি: পুলিশের এসআই ক্লোজড

নাটোর প্রতিনিধি
নাটোরের গুরুদাপুরে একটি মারামারি মামলা থেকে রাসেল হোসাইন নামে এক আমেরিকা প্রবাসীর নাম বাদ দিতে ৫ লাখ টাকা ঘুষ দাবির ঘটনায় গুরুদাসপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবু জাফর মৃধাকে প্রত্যাহার (ক্লোজড) করা হয়েছে।
বুধবার (৪ জুন) সকালে তাকে প্রত্যাহার করে নাটোর পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়।
ভাইরাল অডিওতে শোনা যায়, পুলিশের এসআই আবু জাফরকে মারামারি একটি মামলা থেকে নাম বাদ দিতে, সম্পূর্ণ কমপ্লিট করতে ৫ লাখ টাকার নিচে হবে না। আপনি জানেন চার পাঁচটা দপ্তরে টাকা দিতে হবে। আমি তো একা নাম কাটতে পারবো না। নাম বাদ দিতে গেলে এসপি স্যার, সার্কেল স্যার, ওসি স্যার আমাকে ডাকতে পারে। ঈদের আগে আপাতত ১ লাখ টাকা দিবেন।’ আসামীর বাড়িতে পুলিশ যাবেনা। আমি মামলার আয়ু আমিও যাবনা। মনে করলে একবারেও টাকা দিতে পারেন। কত টাকা দিতে পারবেন বলেন। হলে হবে না হলে নাই। মামলা থেকে নাম বাদ দিতে গেলে আমি একা পরবো না। এ ঘটনায় মঙ্গলবার দুপুরে নাটোরের পুলিশ সুপারের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করেন গোলাম রাব্বি। পরে পুলিশ তদন্ত কমিটি গঠন করেন।
আমেরিকা প্রবাসী ভূক্তভূগি রাসেল হোসাইন জানান, বিদেশে থেকেও আমাকে মারামারি মামলার আসামি করা হয়েছে। অথচ নাম কাটতে পুলিশ কর্মকর্তা ৫ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে ঘুষের প্রস্তাব পেয়ে লজ্জিত এবং ব্যথিত। ঘুষ প্রস্তাবকারী এসআই আবু জাফরের
মতো দুর্নীতিবাজ পুলিশ কর্মকর্তার বিচার দাবি করেন তিনি।
পুলিশ সুপার আমজাদ হোসাই বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পরই অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠিত করা হয়। তদন্তে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় ওই পুলিশ সদস্যকে রাতেই গুরুদাসপুর থানা থেকে প্রত্যাহার করে নাটোর পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। বিষয়টি বিভাগীয় পর্যায়ে জানানো হয়েছে।