দেশে নেতার পরিবর্তন হলেও আদর্শের পরিবর্তন হয়নি-ফয়জুল করিম

নাটোর প্রতিনিধি
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম বলেছেন, দেশে নেতার পরিবর্তন হয়েছে কিন্তু আদর্শের পরিবর্তন হয় নাই। বিএনপি-আওয়ামীলীগ এক গাছের দুই ডাল।
মঙ্গলবার(৮ জুলাই) বিকেলে নাটোর শহরের ভবানীগঞ্জ মোড়ে আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম বলেন, ১৯৯১ সালে বিএনপি একাই নির্বাচন করেছিল। এই বিএনপির কাছ থেকে আওয়ামীলীগ একক নির্বাচন শিখছে। আবার বিএনপি শিখছে আওয়ামীর কাছ থেকে। একই গাছে দুই ডাল বিএনপি-আওয়ামীরীগ। তারা দুই সাপের একই বিষ। এটা হলো ধোকার দেশ। বাংলাদেশের মানুষের মেধা শক্তি ৪০ দিন। আওয়ামীলীগ এত বছর যা কিছু করেছে, কিছুদিন পর সব কিছু মানুষ ভুলে যাবে। নেতার পরিবর্তন হয়েছে, দলের পরিবর্তন হয়েছে কিন্তু আদর্শের পরিবর্তন হয়নি।
ফয়জুল করিম বলেন, জুলাই বিল্পব আমরা সামনে ছিলাম, রাস্তায় ছিলাম। যারা বিদেশে ছিলেন তাদের গরম থাকবে না। যারা ঘরে ছিলেন তাদের গরম আসবে না। যারা বুলেটের সামনে ছিলেন না তাদের ব্যাথা নেই। আমরা বুলেটের সামনে ছিলাম ব্যাথা আমাদের। তাই কথা বলার দায়িত্ব আমাদের। যারা রাস্তায় ছিলেন না তারা জেলখানায় থাকবেন। আমরা রাস্তায় না থাকলে জেলখানা থেকে বের হতে পারতেন না। আপনার নেত্রীর বিদেশে চিকিৎসার ক্ষমতা আপনারা রাখেন না। আপনার লিডার কে বিদেশ থেকে এদেশে আনার ক্ষমতা রাখেন না।
তিনি আরও বলেন, আমরা দাড়িওয়ালা, টুপিওয়ালা, ছাত্র-জনতা, শ্রমিক, কুলি, দিনমজুর রাস্তায় থাকার কারণে আজ বড় বড় কথা বলতে পারছেন। আপনারা লুট করছেন, চাঁদাবাজি করছেন। যে দেশ আমরা স্বাধীন করেছিলাম, কে দেশে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণ করছে। আজ থানা ভাংচুর, লুটপাটের জন্য ৫ আগষ্টে আন্দোলন করি নাই। মায়ের কাছ থেকে যুবক সন্তানকে তুলে নিয়ে হত্যা করা হবে সেজন্য আন্দোলন করি নাই। বিএনপি-আওয়ামীলীগকে বার বার পরীক্ষা করেছেন, তাদের বার বার পরীক্ষার দরকার নেই। আমাদের একটা বার পরীক্ষা নেন, যদি ভাল রেজাল্ট করতে না পারি, তাহলে কখনো আপনাদের সামনে আসবো না।
গণসমাবেশে নাটোর জেলার শাখার সভাপতি মাওলানা মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে বক্তব্যে দেন-ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মুহাম্মদ নুরুননাবী, কেন্দ্রীয় সহ সাধারণ সম্পাদক হাফেজ মাওলানা কামাল উদ্দিন, নাটোর জেলার সাধারণ সম্পাদক এম এম ওমর ফারুকসহ স্থানীয় নেতৃত্ব।