ইউএনও আসার খবরে পালালেন বরসহ বরযাত্রীরা: ৫০ হাজার টাকা জরিমানা

নাটোর প্রতিনিধি
নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলায়
সকাল থেকে ধুমধামে চলছিল ষষ্ঠ শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীর বাল্যবিয়ের আয়োজন।
বাড়ি ভর্তি আত্মীয়-স্বজনরা বিয়ে নিয়ে ব্যস্ত। এসময় ইউএনও আসার খবর পেয়ে বরসহ বরযাত্রীরা পালিয়ে যায়।পরে কনের দাদাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে প্রশাসন।
শুক্রবার(১১ জুলাই) সন্ধ্যায় গুরুদাসপুর উপজেলার খলিফাপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে,
শুক্রবার সকাল থেকে চলছিল বাল্যবিয়ের প্রস্তুতি। বাড়ি ভর্তি ছিল আত্মীয়-স্বজনরা। এসময় গোপন সংবাদে
গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাহমিদা আফরোজ বাল্যবিয়ে বিরোধী এক অভিযান পরিচালনা করেন। পরে প্রশাসনের উপস্থিতি টের পেয়ে বিয়ে বাড়ি থেকে বর ও বরযাত্রী পালিয়ে যায়। ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া কন্যার জায়গায় কনে সাজিয়ে বসানো হয় এক বিবাহিত নারীকে।
এসময় বিয়ে বাড়ির লোকজন পালিয়ে গেলে ‘সাজানো’ কনেকে নিয়ে যান উপজেলা অফিসে। জিজ্ঞাসাবাদে ওই নারী সব কিছু স্বীকার করেন। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বাল্যবিয়ের মূল আয়োজক কনের দাদা বজলুর রশিদকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাহমিদা আফরোজ বলেন, গোপন সংবাদে জানতে পারি ওই এলাকায় বাল্যবিয়ের আয়োজন চলছে। পরে অভিযান চালালে বরসহ আত্মীয়-স্বজনরা পালিয়ে যায়। পরে বাল্যবিয়ে বন্ধ করা হয়। এ অপরাধে কণের দাদা
বজলুর রশিদকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।