নাটোরে রাস্তায় ধানের চারা লাগিয়ে অভিনব প্রতিবাদ

নাটোর প্রতিনিধি
নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলা চাপিলা ইউনিয়নে একটি রাস্তায় কাদামাটিতে ধানের চারা রোপন করে অভিনব প্রতিবাদ জানিয়েছে এলাকাবাসী।

দীর্ঘদিন সড়কটি পাকা না হওয়ায় সোমবার(১১ আগষ্ট) দুপুরে উপজেলার ধানুরা মোল্লাপাড়া রাস্তায় ধানের চারা লাগিয়ে এ প্রতিবাদ জানান।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে ধানুড়া মোল্লাপাড়ার রাস্তাটি সংস্কারের দাবী জানিয়ে আসছেন এলাকাবাসী। কিন্তু এত বছরেও রাস্তাটি সংস্কার না হওয়ায় সাধারণ মানুষদের দুর্ভোগের শেষ নেই। বর্ষাকালে সামান্য একটু বৃষ্টি হলেই কাচা রাস্তায় হাঁটু পর্যন্ত কাদায় পরিণিত হয়। ফলে চলাচলে একেবারে অনুপযোগী হয়ে পড়ে রাস্তাটি। রাস্তটি দিয়ে জেলা সদর ও উপজেলার মহারাজপুর, পুরুলিয়া, বৃপাথরিয়া, চাপিলা, বৃগরিলা, রশিদপুর, মোকিমপুরসহ ১০-১২ টি গ্রামের সাধারণ মানুষ চলাচল করেন। কিন্তু রাস্তাটি চলাচলে অনুপযোগী হওয়ায় জেলা শহরে যেতে ১০ কিলোমিটার পথ ঘুড়ে যেতে হচ্ছে। এতে করে সময় নষ্ট হচ্ছে অন্যদিকে যাতাযাতে খরচ বেড়ে যাচ্ছে।
এ কাচা রাস্তাটি দিয়ে বিভিন্ন স্কুল, কলেজের শিক্ষার্থীরা জেলা শহরসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাতাযাত করে থাকে। কৃষকরা তাদের উৎপাদিক শস্য ও মাছ প্রতিনিয়তই এ রাস্তা দিয়ে আনা-নেওয়া করেন থাকেন। গুরুত্বপূর্ণ এ রাস্তাটি দীর্ঘদিনেও পাকা না হওয়ায় গ্রামবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে রাস্তার মাঝে কাদাপানিতে ধানের চারা রোপণ করে প্রতিবাদ জানান।

ধানুড়া মোল্লাপাড়া এলাকার ৮০ বছরের বৃদ্ধ মো. আব্দুল হামিদ মৃধা বলেন, আমার বয়সে এ রাস্তায় একবার মাটি ফেলানো হয়েছে। এরপর এই রাস্তাটি আর কোনো সংস্কারের মুখ দেখেনি। এর ফলে দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাটি চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বর্ষাকালে সামান্য বৃষ্টিতে হাঁটু কাদামাটিতে একাকার হয়ে পড়ে। এতে করে এলাকার অসুস্থ্য রোগীদের হাসপাতালে নিয়ে যেতে কঠিন হয়ে পড়ে। আমরা হাটে-বাজারে যেতে পারি না।

চাপিলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান বলেন, এ রাস্তাটি সংস্কারের জন্য একাধিকার বার যথাযথা দপ্তরে আবেদন করেছি। কিন্তু আবেদনটি এখনো আলোর মুখ দেখেছি। ফলে রাস্তাটি একেবারে চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। আমরা চেষ্টা করছি, ত্রুত রাস্তাটি সংস্কার করে এলাকার মানুষের চলাচলা উপযোগী হিসেবে করতে।