এমপি আনার হত্যায় ১২০০ পৃষ্ঠার চার্জশিট

নিউজ ডেস্ক:
কলকাতায় রহস্যজনকভাবে খুন হওয়া ঝিনাইদহ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যা মামলার ১২০০ পৃষ্ঠার চার্জশিট জমা দিয়েছে ভারতের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
১২০০ পৃষ্ঠার অভিযোগপত্রে তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি সাবেক এমপি আনার হত্যার ঘটনায় অন্যতম দুই আসামি কসাই জিহাদ হাওলাদার ও মোহাম্মদ সিয়ামকে অভিযুক্ত করেছে। একইসঙ্গে হত্যা করার আগে এবং পরে কীভাবে আনারের মরদেহ লোপট করা হয় এরও বিবরণ তুলে ধরেছেন সিআইডির তদন্তকারী কর্মকর্তা। তবে দাখিল করা চার্জশিটে হত্যার কারণ সম্পর্কে কোনো তথ্য দিতে পারেনি তদন্তকারী সংস্থাটি।
চলতি বছরের ১২ মে গেদে সীমান্ত দিয়ে ভারতের প্রবেশ করেছিলেন ঝিনাইদহ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আনার। ১৩ তারিখ নিখোঁজ হন তিনি। ১৮ তারিখ কলকাতার অদূরে বরাহনগর থানায় তার বন্ধু গোপাল বিশ্বাস নিখোঁজ ডায়েরি করলে পুলিশ তদন্ত শুরু করে।
এরপরই নিউটাউনের সঞ্জিভা গার্ডেন্স নামে একটি আবাসনে আনারের খুন হওয়ার কথা জানায় সিআইডি। খুন হওয়ার দাবি করা হলেও আনারের দেহ পায়নি তদন্তকারীরা।
হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ভারতের সিআইডি তদন্তভার নেওয়ার পর ২২ মে জিহাদকে গ্রেফতার করে। পরে আটক করা হয় সিয়ামকে। অন্যদিকে বাংলাদেশের পুলিশ আমানুল্লা ওরফে শিমূল ভূঁইয়া, শেলাস্তি রহমান, ফয়জুল এবং মুস্তাফিজুরসহ সাতজনকে গ্রেফতার করে। তবে ঘটনার মূল চক্রান্তকারী ও সাবেক এমপি আনারের বন্ধু আখতারুজ্জামান শাহিন পলাতক। তাকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভারতে আনার চেষ্টা করছে সিআইডি।
জিহাদ এবং সিয়ামকে গ্রেফতার করার পরে সিআইডি জানিয়েছিল, খুনের পর আনারের দেহের মাংস এবং হাড় পৃথক করে অভিযুক্তরা। এর মধ্যে মাংসকে ছোট ছোট খণ্ড করে কমোডের মাধ্যমে সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেওয়া হয়। হাড় ফেলা হয়েছিল ভাঙড়ের কাছে বাগজোলা খালে। সেসব উদ্ধার করলেও তা আদতে আনারের কি না, সে ব্যাপারে ফরেনসিক রিপোর্ট আসেনি।
পরে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য আনারের পরিবারের সদস্যদের কলকাতায় ডাকা হলেও বাংলাদেশের সার্বিক পরিস্থিতির জন্য পরিবারের কেউ এখনো কলকাতায় যেতে পারেনি।