আ.লীগের সময় সাংবাদিকরা স্বাধীন ভাবে লিখতে পারেনি – দুলু

নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক উপমন্ত্রী এ্যাড. এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেছেন, আওয়ামী লীগের সময় সাংবাদিকরা স্বাধীন ভাবে লিখতে পারেনি। কেউ সত্য লিখলে তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল আইনে মামলা দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার(২০ সেপ্টেম্বর) রাতে শহরের কানাইখালী এলাকায় কুইন্স রেস্টুরেন্টে কর্মরত নাটোরের সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ্যাড. রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেন, আওয়ামী লীগের সময় কোনো সাংবাদিক স্বাধীন ভাবে লিখতে পারেনি। তাদের কথা বলার অধিকার ছিল না। ডিজিটাল আইন দিয়ে আপনাদের লিখার অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। আপনারা নিরাপক্ষ ভাবে লিখতে পারেননি। অনেক নিরাপদ সাংবাদিককে মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়েছে। এই ডিজিটাল আইন দিয়ে সাংবাদিকদের সত্য লেখা বন্ধ করতে চেয়েছে। আমরা এ ডিজিটাল আইন অতি দ্রুত পরিবর্তন করার দাবী করছি।
বিএনপির এ নেতা বলেন, নাটোরকে নিয়ে আমার অনেক স্বপ্ন ছিল। নাটোরের রাস্তা-ঘাটের উন্নয়ন করে একটি আধুনিক নাটোর গড়ার ইচ্ছা ছিল। নাটোর স্টোডিয়ামকে আন্তজার্তিক মানের স্টোডিয়াম করতে চেয়েছিলাম কিন্তু সেই সুযোগ হয়নি। নাটোরের ওপর দিয়ে গ্যাস লাইন গিয়েছে কিন্তু নাটোরের মানুষ গ্যাস পায়নি। আমার সময় যদি নাটোরের মানুষ গ্যাস না পেত, তাহলে আমি রাজনীতি ছেড়ে দিতাম। নাটোর হয়ে অন্য জেলায় গ্যাস যায়, নাটোর পাবে না তা কি ভাবে হয়।
দুলু আরও বলেন, বিএনপির নাম দিয়ে যদি কেউ চাঁদাবাজি, ছিনতাই, লুট করে আমাকে বললেন। আমি যদি তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে না পারি, তাহলে হাতে চুরি পড়ে রাজনীতি ছেড়ে দেবো। এ বিষয়ে কোনো আপোষ চলবে না। অন্যায়কারীর বিচার হবেই।
এসময় সাংবাদিকরা তাদের বক্তব্যে নাটোরের বিভিন্ন উন্নয়ন, ভবিষৎ পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন।
মতবিনিময় সভায় নাটোর জেলা বিএনপির আহবায়ক মো. শহিদুল ইসলাম বাচ্চুর সভাপতিত্বে আরও বক্তব্যে রাখেন- জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রহিম নেওয়াজ, যুগ্ম আহবায়ক ফরহাদ আলী দেওয়ান শাহীন।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন- নাটোর সদর উপজেলা বিএরপির সভাপতি অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আলম আবুল ব্যাপারি, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মো. কামরুল ইসলামসহ অনেকে।
এসকে/প্রতিবেদক