মীর কাসেম ও নিজামীদের ফাঁসি দিয়ে হত্যা করা হয়েছে-নুরুল ইসলাম

নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নাটোর জেলা শাখার আমীর ড. মীর নুরুল ইসলাম বলেছেন, ২০০৬ সালের রক্তাক্ত ২৮ অক্টোবরের পথ ধরে আওয়ামী লীগ যে সন্ত্রাসী রাজনীতি শুরু করেছিল তা ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। জামায়াতে ইসলামীকে রাজনীতিশূন্য করার প্রক্রিয়াও শুরু হয়। তারই আলোকে জামায়াতে ইসলামকে রাজাকারের ট্যাক লাগিয়ে মীর কাসেম, মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীসহ অনেককেই ফাঁসি দিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) বিকালে শহরের কানাইখালি পুরাতন বাসষ্ট্যান্ডে
আওয়ামীলীগ দসহ ১৪ দলীয় জোটের সন্ত্রাসীদের বিচারের দাবীতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মীর নুরুল ইসলাম বলেন, শাপলা চত্ততে আলেম হত্যা, সাগর রুনী হত্যা এবং বিডিয়ার বিদ্রোহে ৫৭জন সেনা কর্মাকর্তাকে শেখ হাসিনার নির্দেশে হত্যা করা হয়েছে। প্রত্যেকটা হত্যাকাণ্ডের বিচার হবে বাংলার মাটিতে করা হবে। ড. মীর নুরুল ইসলাম বলেন, বৈষম্যহীন মানবিক সমাজ ও কল্যাণমূলক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য এবং সকল ইসলামী শক্তি নিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কাজ করছে। দেশে গণতন্ত্র, আইনের শাসন, মানবাধিকার, ন্যায়বিচার, বাকস্বাধীনতা, ভোটাধিকারসহ মানুষের সব অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়।

আরও বলেন,২৮ অক্টোবর জামায়াতের জনসভায় চালানো আওয়ামী লীগের লগি-বৈঠার তাণ্ডব স্মরণ করে তিনি বলেন, ২০০৬ সালে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচাল করার উদ্দেশে একই বছর চারদলীয় জোট সরকারের মেয়াদ শেষে ২৮ অক্টোবর আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট সারা দেশে লগি-বৈঠার তাণ্ডব সৃষ্টি করে।
এদিন বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে জনসভার মঞ্চ নির্মাণের কাজ চলছিল। হঠাৎ করে ১৪ দলীয় জোটের সন্ত্রাসীরা গোটা পল্টন এলাকায় জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষের ওপর লগি-বৈঠা, লোহার রড ও বিভিন্ন ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কোন চাঁদাবাজির সাথে জড়িত নয়, দেশের সকল মানুষকে নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব জামায়াতে ইসলামীর, কিন্তু যারা সন্ত্রাসী তাদেরকে আমরা বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাবো।