নাটোরে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন কারাদন্ড

নাটোর প্রতিনিধি
নাটোরের গুরুদাসপুরে বিয়ের প্রভোলন দেখিয়ে এক ছাত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণের ঘটনায় মো.মেহেদী হাসানকে(২২) যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে আসামিকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
মঙ্গলবার(২২ এপ্রিল) সকালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এ রায় ঘোষণা করেন।
সাজাপ্রাপ্ত আসামি মো. মেহেদী হাসান(২২) নাটোর জেলার গুরুদাসপুর উপজেলার বৃ-চাপিলা পাঠানপাড়া এলাকার মো. আব্দুর রহিম শেখের ছেলে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, বিয়ে প্রলোভন দেখিয়ে ভিকটিমের সঙ্গে আসামির প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। প্রেমের এক পর্যায়ে গত ২০২২ সালে ৩০ জানুয়ারি রাত ১২ টার দিকে আসামী মেহেদী হাসান ফোন করে ভিকটিমকে বিয়ে বিষয়ে আলোচনা করতে বাড়ির বাহিরে ডেকে নেয়। এসময় আসামী মেহেদী হাসান বিয়ে প্রলোভন দেখিয়ে বাঁশ বাগানে নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে ভিকটিমকে। এরপর বিয়ে করার কথা বললে আসামী কৌশলে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে চলে যায়। এসময় ভিকটিমের মা ঘরের ভেতরে তাকে দেখতে না পেয়ে খোঁজা-খুঁজি করতে থাকে। এক পর্যায়ে ভিকটিমের মা তাকে বাগানে বসে থাকতে দেখে জিজ্ঞাসা করলে সব কিছু খুলে বলে। পরবর্তীতে ভিকটিমের শারীরিক ভাবে অসুস্থ্য হয়ে গেলে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে ভিকটিমের মা বাদী হয়ে গুরুদাসপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। দীর্ঘ কয়েক বছরে সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালতের বিচারক আজ মঙ্গলবার অভিযুক্ত আসামি মেহেদী হাসানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন আদালতের বিচারক। একসঙ্গে ১ লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়।