বড়াইগ্রামে চাঁদাবাজির ঘটনার প্রতিবাদে জামায়াতের সংবাদ সম্মেলন

নাটোর প্রতিনিধি
নাটোরের বড়াইগ্রামে চাঁদাবাজির ঘটনার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ। এ ঘটনায় মামলায় অভিযুক্ত চার আসামিকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।

মঙ্গলবার(২৯ জুলাই) বিকেলে চাঁদাবাজির প্রতিবাদে জেলা জামায়াতের পক্ষ থেকে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

লিখিত বক্তব্যে জেলা আমীর অধ্যাপক ড. মীর নূরুল ইসলাম প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, চাঁদাবাজি নয়, পৈত্রিক সম্পত্তি পুনরুদ্ধারের বিষয়। ওয়ার্ড জামায়াতের সভাপতি রুহুল আমিনের পিতা মজিবর ওয়ারিশ সূত্রে ওই জমির মালিক। প্রাপ্ত ৩৩ শতাংশ জমির মধ্যে ২২ শতাংশ বিক্রি করে। বাকি ১১ শতাংশের মধ্যে রোডস্ এন্ড হাইওয়ে ৪ শতাংশ একোয়ার করে নিয়েছে। বাকী ৭ শতাংশ তাদের মালিকানায় রয়েছে। যা ওয়ারিশ সূত্রে প্রাপ্ত। কিন্তু ৭ শতাংশ জমি আহম্মদপুর নওপাড়া গ্রামের জোয়াড়ী ইউনিয়ন যুব দলের সাংগঠনিক সম্পাদক দুলাল, জাহাঙ্গীর, শাহ আলম মোতালেব দীর্ঘদিন যাবৎ দখল করে রাখে। ওই জমি উদ্ধারের জন্য বড়াইগ্রাম থানায় এস আই আমিনুলের নেতৃত্বে শালিশি বৈঠক হয়। বিষয়টি মিমাংসার জন্য জোয়াড়ী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জুলহাস উদ্দিনের নেতৃত্বে ৪ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়।

তিনি আরও বলেন, জামায়াত কর্মী রুহুল আমিনের বড় ভাই বিএনপি নেতা হায়দার আলী জায়গায় থাকা দোকানগুলোতে তালা লাগিয়ে দেয়। এখানে কোনো চাঁদাবাজির ঘটনা ঘটেনি। এটা নিতান্তই পৈত্রিক সম্পত্তি পুনরুদ্ধার সংক্রান্ত বিষয় এবং নিতান্তই তাদের পারিবারিক বিষয়। অসত্য, বিভ্রান্তমূলক এ ধরনের সংবাদ ভবিষতে প্রচার না করতে অনুরোধ জানান জামায়াতের এ নেতা।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নাটোর জেলার নায়েবে আমীর অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসাইন খান, সেক্রেটার অধ্যাপক মোঃ সাদেকুর রহমান, এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুল হাকিম, অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারী ও জেলা প্রচার এবং মিডিয়া সম্পাদক আতিকুল ইসলাম রাসেল, নাটোর শহর শাখার আমীর মাওলানা রাশেদুল ইসলামসহ নেতৃবৃন্দ।